লিখেছেন শফিক জাহেদী রবিন...
আপনারা জানেন আমার ছোট ভাই "ফারহান জাহেদী সফেন " ২১ তারিখ রাত ১১ টার দিকে স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেছেন। রাজনীতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে জামালপুর বাসীর জন্য ছিলেন একজন কিংবদন্তী।
আপনারা অনেকেই তার সাথে মিশেছেন, হাসি দিয়ে মানুষের মন জয় করার আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা ছিলো তার।
মানুষ মাত্রই ভূলের অধীন, তিনিও হয়ত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অনেক মানুষের বিরা
গভাজন হয়েছেন। হতে পারে তিনি যেমন মানুষের সাথে ভালো আচরণ করেছেন, তেমন হঠাত কারও সাথে রাগ ও দেখিয়ে থাকতে পারেন৷
গভাজন হয়েছেন। হতে পারে তিনি যেমন মানুষের সাথে ভালো আচরণ করেছেন, তেমন হঠাত কারও সাথে রাগ ও দেখিয়ে থাকতে পারেন৷
সফেন বিগত ১টা বছর বাসা থেকে খুব একটা বের হতেন না। তিনি প্রায় নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন, ফজরের নামাজের পর রাস্তা হাটতেন, বাকি সময়টা ঘরেই কাটাইতেন। মাঝে মাঝে ৪০ দিনের চিল্লায় যাইতেন। এভাবেই তিনি তার জীবনের শেষ একটা বছর কাটিয়েছেন। শেষ এক টা বছরে তিনি তার সকল ত্রুটিযুক্ত অভ্যাসগুলোকে কাটিয়ে উঠিয়েছিলেন। আল্লাহ তায়া’লা আপনাদের দোয়ায় তাকে এই হেদাতটুকু দিয়েছিলেন।। তিনি শেষ ১ টা বছর পুরোপুরি ইসলাম মতে চলার চেষ্টা করেছিলেন। আমার জানামতে তিনি তার জীবনের শেষ বছরগুলোতে কারো সাথে ধমকের সুরে কথা পর্যন্ত বলেন নি। খুব হাস্যজ্জ্বল ও অত্যন্ত নরম মনের মানুষে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। শেষ ১৫ টা দিন থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা ফোনে মানুষের খোজ খরব নেয়াও অনেক বেশি বাড়িয়েছিলেন।
এতকিছু বলার উদ্দেশ্য হল, আপনাদের কাছে করো জোড়ে অনুরোধ, যদি কেও আমার ভাইয়ের জীবদ্দশায় তার কোন ব্যবহারে বা অন্য যে কোন কারণে হোক মনে বিন্দুমাত্র কষ্ট পেয়ে থাকেন, আল্লাহর ওয়াস্তে খাস দিলে তাকে মাফ করে দিয়েন। খাস দিলে তার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করিয়েন।
আমার ভাই তার শেষ বছরগুলোতে এতটা নরম আর শান্ত মানুষে পরিণত হয়েছিলেন যে, যদি সেসময় আপনাদের সাথে দেখা হত আর আপনি তার কোন আচরণে কখনও কষ্ট পাওয়ার কথা তাকে জানাইতেন তাহলে তিনি নিজেই অনায়াসে আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতেন।।
আমরা তার পরিবার, তার পক্ষে থেকে আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা কেও যদি কখনও কোন কারণে তার প্রতি ক্ষোভ থেকে থাকে, দয়া করে খাস দিলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন, তার জন্য মন থেকে দোয়া করবেন।
যদি কাওকে মনে করে থাকেন যে তিনি আমার ভাইয়ের কোন কাজে বা আচরণে কখনও কষ্ট পেয়েছে, তাকে তার জীবনের শেষ সময়গুলোর কথা জানাবেন, তার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
তার জন্য দোয়া করতে বলবেন।


আল্লাহ যেন আমার ভাইকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন। আমিন।
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা মেলান্দহ বাসী শোকে স্তব্ধ হয়েছি। তিনি আপামর মানুষের নেতা ছিলেন। আমরা জানি মানুষ মাত্রই ভুল। জীবন সুন্দর, আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুক। আমিন।
Comments
Post a Comment